ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে চুলের যত্ন নিবেন ২০২৫

 আমরা বর্তমান সময়ে অনেকেই একটি বড় ধরনের সমস্যাই ভুগছি। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা অনেকেই অনেক ধরনের পন্থা অবলম্বন করে থাকি কিন্তু ভালো কোন ফলাফল পাইনা। তাদের জন্যই নিয়ে এসেছি ১০০% কার্যকারী উপাই। আমি যে সমস্যার কথা বলছি তা হলো চুল পড়া। বর্তমানে এই চুল পড়া আক্তি কমন সমস্যা হয়ে দারিয়েছে। আপনাদের আই সমস্যা সমাধানের জন্য আমি আপনাদের সাথে কিছু উপাই সহযোগিতা করবো যা ঘরোয়া ভাবেই করা সম্ভব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক- 


নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান, ক্লিক করুন

কি কাজ করলে চুল পড়া বন্ধ হবে?

 চুল পড়া রোধ করতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য নিশ্চিত করুন। পুষ্টির ঘাটতি; বিশেষ কোরে আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন এ এবং ডি অপর্যাপ্ত থাকলে ঝরতে পারে চুল। বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি, চর্বিহীন প্রোটিন ও শস্যজাতীয় খাবার অন্তভুক্ত করুন খাদ্যতালিকাই। পালং শাক, ডিম, বাদাম ও মাছের মতো খাবারও চুলের জন্য খুবই উপকারি। চুল পড়া রোধের জন্য সঠিক ভাবে চুলের যত্ন নেওয়া। নিয়মিত চুলের শ্যাম্পু করা, সঠিক নিয়মে চুলে তেল দেওয়া, মোটা দাঁতযুক্ত চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানো। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা।

কি কি খাবার খেলে চুল পড়া বন্ধ হবে?

চুলের পুষ্টির জন্য খাদ্য বিশেষ ভাবে ভূমিকা রাখে। প্রোটিন যুক্ত খাবার হলো; বাদাম, হলুদ ও কমলা রঙের সবজি, তৈলাক্ত মাছ, ডিম, পালংশাক, বিভিন্ন ধরনের বিজ, ছোলা, টক দই, টক ফল ইত্যাদি। বাদাম, বিশেষ করে আখরোট, কাজুবাদাম, কাঠবাদামে প্রচুর বায়োটিন থাকে। এটি চুলের গঠন মজবুত করে, চুল পড়া রোধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। হলুদ ও কমলা রঙের সবজি, ফলমূল চুল ঘন কালো ও মজবুত করে। তৈলাক্ত মাছ চুল মজবুত করতে বিশেষ ভাবে ভুমিকা রাখে। ডিমে থাকা প্রোটিন যা চুলের মূল উপাদান কেরাটিন পূর্ণ গঠনে সাহায্য করে।পালং শাকে আয়রন থাকে যা চুলের ফলিকলে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। ডাল চুল মজবুত করতে অত্যান্ত কার্যকর। 

কি কি ব্যাবহার করা চুলের জন্য ভাল?

চুলের যত্নে আমরা অনেকেই অনেক কিছু দিয়ে থাকি। চুলের জন্য বিশেষ ভাবে যেগুলো কাজ করে তা হলো; মেহেদি, আমলকী, লেবুর রস, নিমপাতা, মেথি ইত্যাদি। আপনি কি জানেন? মেহেদি পাতার গুড়া শ্যাম্পুর বিকল্প হিসেবে দারুন কাজ করে। এর যে প্রাকৃতিক উপাদান আছে তা চুল বড় করতে সহায়তা করে এবং চুল পড়া কমাই। ভিটামিন সি এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ আমলকী চুলের বৃদ্ধি তরান্বিত করে এবং অকালে চুল পাকা রোধ করে। লেবুর রস মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং খুসকি দূর করতে সাহায্য করে। মেথি চুলের জন্য বিশেষ ভুমিকা রাখে। মেথিতে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ও নিকটিনিক এসিড রয়েছে যা চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগাই এবং চুলকে মজবুত করে।

চুল পড়া বন্ধ না হওয়ার কারণ কি?

চুল পড়া বন্ধ না হওয়ার কারন হলো; দীর্ঘদিন মানুষিক দুশ্চিন্তাই থাকলে বা দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠতে না পারলে, পুষ্টির অভাবে, পর্যাপ্ত পরিমানে সঠিক পুষ্টি না পেলে চুল পরে। পানি কম পান করলে, সঠিক নিয়মে তেল না দিলে, ভিটামিনের অভাবে, আয়রনের অভাবে। চুল পড়ার অনেক সম্ভাব্য কারণ রয়েছে এবং কিছু ঘাতটি রয়েছে যা মারাত্মক চুল পরার কারন হতে পারে। ভিটামিন এ এবং ই এর অভাবে চুল পরে। এই ভিটামিনগুলো মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

চুলের জন্য কোন তেল ব্যাবহার করা উচিত? 

চুলের জন্য তেল খুবি উপকারি চুলের জন্য তেলের ভুমিকা অপরিসীম। তবে সব তেল না কিছু কিছু তেল আছে যা চুলের জন্য খুবি উপকারি। যেমন নারিকেল তেল, অর্গান অয়েল, অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, রোজমেরি অয়েল, অ্যাভোকাডো অয়েল ইত্যাদি। নারিকেল তেল চুলের যত্নে অত্যান্ত কার্যকরী। ক্যাস্টর অয়েল; এতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্টস, যা চুলের শাইনি ইফেক্ট দিতে সাহায্য করে এবং চুলের ড্যামেজ রিপেয়ার করতেও কার্যকরী ভুমিকা রাখে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url