কালোজিরা, মধু ও পান পাতার উপকারিতা
আমরা সকলেই কালোজিরা ও মধু সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানে। মধু ও কাগজেরা আমাদের শরীরের অনেক উপকারী উপাদান। কাঁচা পানির সাথে মধু এবং কালোজিরা খাওয়ার ফলে কি হয় সেটি সামান্য স্বাস্থ্য সম্পর্কে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ। পান একটি মাদক যুগ্ন জাত পান করার সময় এবং প্রয়োজনে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রস্রাব বাড়ানোর জন্য কালোজিরা খাওয়া হয়। জ্বর, সর্দি, কাশি, অরুচি, উদ্রাময়, শরীর ব্যথা, গলা ব্যথা, পেটের ব্যথা, মাথা ব্যথা কমাতে, মাথা ঝিমঝিম করা, মাইগ্রেন নিরাময় করা যথেষ্ট উপকারী বন্ধ হিসেবে কাজ করে। নিচে কালোজিরা মধু ও পানির উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পেজ সূচিপত্রঃ কালোজিরা মধু ও পান পাতার উপকারিতা
- কালোজিরা মধু ও পান পাতার উপকারিতা
- কালোজিরা কেন খাব?
- কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা কি কি?
- কোন কোন উপকরণের সাথে কালোজিরা খাওয়া যায়?
- খাঁটি মধু চেনার উপায় কি?
- কোন কোন উপকরণের সাথে মধু খাওয়া যায়?
- মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
- পানের উপকারিতা কি?
- পানের ঔষধি গুনাগুন ব্যাখ্যা
- কালজিরা ও মধুর ওষুধি গুণাগুণ ব্যাখ্যা
কালোজিরা মধু ও পান পাতার উপকারিতা
কালোজিরা মধু ও পান পাতার উপকারিতা হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করে
কালোজিরা নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে।
যে কোন জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং
সার্বিকভাবেই স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। কালোজিরা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করে। নিয়মিত পেট খারাপের সমস্যা থাকলে কালোজিরা সামান্য ভেদে গুড়ো করে
৫০০ বিডি গ্রামে হারে ৭-৮ চা চামচ দুধে মিশিয়ে সকালে ও বিকালে সাত দিন ধরে খেলে
উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যায়।
তাই সকালে কালো জিরার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। কালোজিরা ও মধু ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে দারুন ভূমিকা পালন করে। কালোজিরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের
রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দেই। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রাচীন কাল
থেকে কালোজিরা নানা রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে
আসছে। প্রতি গ্রাম কালোজিরায় যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা
হল- প্রোটিন, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, আয়র্ন, ফসফরাস, কপার, জিংক
এবং ফোলাসিন ইত্যাদি।
ব্যথায় আরাম পেতে, ব্যথার জায়গা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে কালোজিরার তেল
মালিশ করুন। ১ চা চামচ কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে একটা চামচ কালোজিরা তেল ও ১চা
চামচ মধু মিশিয়ে দিনে তিনবার খান। ১-২ চামচ খেলে ফল মিলবে হাতেনাতে। পিঠে
ব্যথায় ভুগছেন? কালোজিরার থেকে তৈরি তেল আমাদের দেহে বাসা বাধা দীর্ঘমেয়াদী
রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া সাধারণভাবে কালোজিরা ও মধু
খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।
সর্দি কাশিতে আরাম পেতে, এক চা চামচ কালোজিরা তেলের সঙ্গে এক চা চামচ মধু বা এক
কাপ লাল চায়ের সঙ্গে আধা চা চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার খান। পাতলা
পরিস্কার কাপড়ে কালোজিরা বেঁধে শুকালে, শ্লেস্মা তরল হয়। পাশাপাশি, এক চা
চামচ কালোজিরা সঙ্গে তিন চা চামচ মধু ও দুই চা চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে
খেলে জ্বর, সর্দি, ব্যথা, কাশি কমে। বুকে কফ বসে গেলে কালোজিরা বেটে,
মোটা করে প্রলেপ দিন একই সাথে।
হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা সমাধানে কালোজিরা দারুন কাজ করে। প্রতিদিন কালো
জিরার ভর্তা খেলে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা উপশম হয়। তাছাড়া এই সমস্যার
উপসঙ্গে কালোজিরার সঙ্গে মধু খেতে পারেন। প্রচন্ড সর্দি হয়ে মাথা যন্ত্রণা
হচ্ছে? এক্ষেত্রে কালোজিরা পুটলিতে বেঁধে শুকাতে হবে। তবে পুটলিতে নেওয়ার আগে
রগড়ে নিতে হবে। তাতে গন্ধ বের হয় এবং উপকার হয়।
কালোজিরা কেন খাবো?
নিয়মিত কালোজিরা খেলে দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এতে করে মস্তিষ্কের রক্ত
সঞ্চালনের বৃদ্ধি ঘটে। যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে কালোজিরা বেশ উপকারী। নিয়মিত কালোজিরা ও মধু
খাওয়ালে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। কালোজিরা শিশুর মস্তিষ্কের
সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে অনেক কাজ করে। নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ালে দ্রুত
শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। কালোজিরা শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে অনেক কাজ করে।
শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয়, আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি চিকিৎসাতেও কালোজিরার
ব্যবহার হয়। কালোজিরার বীজ থেকে এক ধরনের তেল তৈরি হয়, যা আমাদের শরীরের
জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে আছে ফসফেট, আইরন এবং ফসফরাস। এছাড়াও কালোজিরা বিভিন্ন
রোগের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, হৃদরোগজনিত সমস্যার
আশঙ্কা কমায়। ত্বকের সুস্বাস্থ্য অর্থাইটিস ও মাংসপেশির ব্যথা কমাতে
কালোজিরা তেল উপযোগী। চেহারার কমনীয়তা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে টনিকের মতো কাজ করে।
রাতে ঘুমানোর আগে চোখের উভয়পাশে ও ভ্রুতে কালোজিরা তেল মালিশ করুন। এক কাপ
গাজরের রসের সঙ্গে একমাস কালোজিরা তেল সেবন করুন।
কালোজিরা তেলের উপকারী শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়্,
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, হৃদরোগ জনিত সমস্যা আশঙ্কা কমায়। ত্বকের সুস্বাস্থ্য
অর্থনীতি ও মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে কালোজিরা তেল উপযোগী কালোজিরা শরীরের জন্য খুবই
জরুরী। পেটের যাবতীয় রোগ জীবাণু ও গ্যাস দূর করে। চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য
করে। শ্যাম্পু করার পর ১৫ মিনিট পর কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এতে এক সপ্তাহে চুল
পড়া কমে যাবে। চা এর সঙ্গে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা তেল মিশিয়ে পান করলে
হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ কমে যায়।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রতিদিন সকালে দুই কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে,
সারা শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে রোদে আধঘন্টা বসে থাকুন। পাশাপাশি একটা চামচ
কালো জিরার তেলে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলেও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কালোজিরা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারি। এটি রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দেই।
এতে করে কালোজিরা ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। যখনই গরম পানি
বা চা পান করবেন, তখনই কালোজিরা খাবেন। গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময় কালো দিনের
ভর্তা খান রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। এছাড়া কালোজিরা নিম ও রসুনের তেল একসঙ্গে
মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করুন। এটি দুই তিন দিন পরপর ব্যবহার করা যায়।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে কারিপাতার ব্যাবহার
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা কি কি?
প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা নানা রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে
আসছে। প্রতি গ্রাম কালোজিরায় যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হলো-প্রোটিন, ভিটামিন
বি, নিয়াসিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, কপার, জিংক এবং ফোলাসিন। কালোজিরা খুব
পরিচিত একটি নাম। কালোজিরা সাধারণত খাবারের ফোড়ন হিসেবে ব্যবহার
হয়ে ্থাকে। যে কোন রান্নায় কালোজির ফোড়ন দিলে সেই রান্নার পুষ্টিগুণ
অনেকটাই বেড়ে যায়। কালোজিরা দিয়ে সাদা আলু চচ্চড়ি, ইলিশ মাছের
পাতলা ঝোল, এছাড়াও নিমকি তৈরি করতে বা যেকোনো ধরনের চপ তৈরি করতে বেসনের
গোলাতেও কালোজিরা মেশানো হয়ে থাকে।
বহু যুগ থেকে কালোজিরা মানব দেহে নানা রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিরোধ হিসেবে ব্যবহার
হয়ে আসছে। এজন্য একে সকল রোগের ওষুধ ও বলা হয়। সত্যি তাই, কালোজিরের মধ্যে
রয়েছে নাইজে লোন, থাইমকিনন, লেনোলিগ অ্যাসি্ড, অলিক এসিড, ক্যালসিয়াম,
জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফেট, সেলেনিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি,
ভিটামিন সি, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট। তাই প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়া
উচিত সুস্থ থাকতে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করে কালোজিরা। নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের
প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে। যে কোন জীবাণু বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে
দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। কালোজিরা
আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত পেট খারাপের সমস্যা
থাকলে কালোজিরা সামান্য ভেজে গুঁড়ো করে ৫০০ মিলিগ্রাম হারে ৭-৮
চা চামচ মধু মিশিয়ে সকালে ও বিকেলে সাত দিন ধরে খেলে উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া
যায়। তাই সকালে কালোজিরা সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
কালোজিরা ও মধু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণ ভূমিকা পালন করে। কালোজিরা
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দেই। ফলে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে থাকে। বাতের ব্যথায় আরাম পেতে ব্যথার জায়গা ভালো করে ধুয়ে
পরিষ্কার করে তেল মালিশ করুন।১চা চামচ কাঁচা হলুদের রসে সঙ্গে এক চা চামচ
কালোজিরা তেল ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে তিনবার খান। ২-৩ সপ্তাহ টানা
খেলে অনেক উপকার পাবেন।
বিভিন্ন খাবারের সাথে কালো জিরে মিশিয়ে খাওয়া যায়। যেমন, মধু, গরম ভাত,
কাঁচা পান, বেসন, পাঁচফোড়ন ইত্যাদি। খাবারের স্বাদ বাড়াতে কালোজিরা খুবই
ভাল কাজ করে। শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয়, আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি
চিকিৎসাতেও কালোজিরা ব্যবহার হয়। কালোজিরার বীজ থেকে এক ধরনের তেল তৈরি হয়। এই
তেল বিভিন্ন ব্যথা শরীর মাসাজ, চুল উঠে যাওয়া, ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে টনিকের
মত কাজ করে। মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের ওষুধ হল কালোজিরা। রাতে ঘুমানোর আগে
চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন।
কোন কোন উপকরণের সাথে কালো জিরে খাওয়া যায়?
১। মধুর সাথে কালোজিরা খাওয়া যায়
২। পানের সাথে কালোজিরা খাওয়া যায়
৩। গরম ভাতের সাথে কালো জিরায় ভর্তা খাওয়া যায়
৪। রুটি বা মুড়ির সাথে কালোজিরা খাওয়া যায়
৫। মসলা হিসেবে কালোজিরা ব্যাপক ব্যবহার করা হয়
৬। বেসন ও নিমকি বানাতে কালোজিরা ব্যবহার হয়
৭। বৃষ্টি কেক হালুয়া পীর নেই বিস্কুট এসবের সাথে কালোজিরা দেওয়া হয়
৮। বিভিন্ন বাণিজ্যিক খাদ্য পণ্যের সাথে কালোজিরা মেশানো হয়
৯। পাঁচফোড়নের সাথেও কালোজিরা মেশানো হয়
১০।বিভিন্ন ভর্তার সাথে কালোজিরা মেশানো হয়
কালোজিরা মসলা হিসেবে ব্যাপক ব্যবহার হয়। এটি পাঁচ ধরনের একটি উপাদান। কালোজিরা
সরাসরি তেল হিসেবে ও কাঁচা চিবিয়ে এবং ভেজে পরিমাণ মতো খাওয়া যাই। সরাসরি
খাওয়া আর থেকে শুরুতে রুটি ভাত বা মুড়ির সাথে কালোজিরা খাওয়াটা অভ্যাস করতে
পারলে ভালো। যখনই গরম পানিও বা চা পান করবেন তখনই কালোজিরা কোন না কোন ভাবে
সাথে খাওয়া ভালো। গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময় কালোজিরা বেশ উপকারী।
কালোজির একটা দারুন ঘরোয়া ঔষধ।
দাঁতের ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে করলে ব্যথা কমে। জিহ্বা, তালু,
দাঁতের মাড়ি জীবাণু মোরে স্বস্তি এনে দেয়। চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে চুলের
গোড়া শক্ত করতে প্রচুর পড়া বন্ধ করতে কালোজিরা তেল অত্যন্ত উপকারী ঔষধ। ত্বকের
তারুণ্য ধরে রাখে পরিবেশের প্রকারতা স্ট্রেস থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বকে
সুন্দর করে ও ত্বকের তার অন্য ধরে রাখে কালোজিরার তেল।
কালোজিরা তরকারির সাথে রান্না করে, ভর্তা করে, চাটনি করে খাওয়া হয়। মিষ্টি কেক
হালুয়া ফিরনি বিস্কুট বরফি এসবের সাথেও দেখা যায়। তিলের তেলের সাথে কালোজিরা
বাটা বা কালোজিরা তেল মিশিয়ে ফোড়াতে লাগালে ফোঁড়ার উপশম হয়। মধু ও কালোজিরার
পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে আধাঘন্টা এবং একঘন্টা মুখে রেখে ধুয়ে ফেললে ত্বক
উজ্জ্বল হয়। নিয়মিত লাগালে ব্রণ দূর হবে। প্রত্যেকের রান্নাঘরে
কালোজিরা থাকে।
খাঁটি মধু চেনার উপায় কি?
খাঁটি মধু দলা পাকিয়ে পানির নিচে জমে থাকবে। খুব ধীরে ধীরে মিশবে। বাজারে নানান
ধরনের মধু পাওয়া যাই। আবার রাস্তাঘাটেও ফেরি করে বিক্রি করা হয় মধু। এই ভেজালের
যুগে মধু খাটি কিনা সেটা বোঝার জন্য রয়েছে কিছু কৌশল। তবে অনেকেই বাজার
থেকে খাঁটি মধু কিনতে পারেনা। কেননা, বাজারে প্রচুর নকল মধু পাওয়া যায়। সেসব
মধুতে এমন রাসায়নিক মিশিয়ে দেওয়া হয়, যার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই মধু আসল
কিনা তা আগেই পরখ করে নিন।
খাঁটি মধু ফ্রিজে রাখা হলে কখনো জমাট বাধবে না বা দানা দানা ভাব হবে না। ঘন তরল
ভাবটাই থাকবে। তবে ভেজার মধু ফ্রিজে রাখলে জমে যাবে এবং স্পটিকের এর মত দানা
ভাব দেখা দিবে। এমন কি মধুর ওপরের অংশে সাদা স্তরও দেখা যাবে যা আসলে
চিনি।
খাঁটি মধু চেনার উপায় হল-
১। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ মধু দিন। তারপর গ্লাসটি ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন।
মধু যদি পানির সঙ্গে তাড়াতাড়ি মিশে যাই, তাহলে সেটি নকল।
২। মধু দোলা তাকিয়ে পানির নিচে জমে থাকবে খুব ধীরে ধীরে মিশবে। সহজে মিশতে
চাইবে না।
৩। এক টুকরো ব্লটিং পেপারের কয়েক ফোঁটা মধু ঢালুন। যদি ব্লটিং পেপারটি
সম্পূর্ণ মধুটি শুষে নেই, তবে বুঝতে হবে এ মধু খাঁটি নয়।
৪। পরিষ্কার একটি সাদা কাপড়ে কয়েক ফোঁটা মধু ফেলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা
করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি সহজে দাগ উঠে যায়, তবে সে মধু
একেবারে খাঁটি নয়। মধুর ঘনত্ব এতটাই বেশি যে তারা দাগ সহজে যেতে চায় না।
৫। এক গ্লাস পানিতে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার মেশান। তাতে কয়েক ফোঁটা মধু
ফেলে দেখুন। । যদি ফেনা ওঠে তাহলে বুঝতে হবে সেটা নকল মধু।
৬। তুলই কয়েক ফোটা মধু নিয়ে সেটিকে দেশলাই দিয়ে জ্বালান। যদি জ্বলে ওঠে
তাহলে বুঝতে হবে সে মধু খাঁটি।
কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় সুন্দরবনের মধু ও পাহাড়ি অঞ্চলের মধুর মধ্যে পার্থক্য
আছে। বনাঞ্চলের আদ্র পরিবেশের কারণে মধুম পাতলা হয়। আর পাহাড়ি এলাকার শুষ্ক ও
ঠান্ডা পরিবেশের জন্য মধু ঘন হয়। আবহাওয়া মধুর ওপর সবসময় প্রভাব রাখে।
সুন্দরবন হচ্ছে ম্যানগ্রোভ বা শ্বাসমূলীয় বন। এই বনের বেশিরভাগ গাছের
মূল পানির মধ্যে থাকে। আর পরিবেশ ও আদ্র। তাই মনে রাখতে হবে সুন্দরবনের খাঁটি মধু
সবসময় তরল পাতলা হবে।
আরো পড়ুনঃ
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
কোন কোন উপকরণের সাথে মধু খাওয়া যায়?
সুস্থ থাকতে নিয়মিত খাঁটি মধু খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। ইতি মধ্যে আমরা জেনেছি
মধুতে কি কি উপাদান সমূহ বিদ্যামান রয়েছে। তবে আমাদেরকে নিয়মিত মধু খাওয়ার
অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলে মধুতে বিদ্যামানের বিশেষ খাদ্য উপাদান গুলি আমাদের
শরীরে বিশেষভাবে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে। আমরা সব সময় মধু নিয়মিত খাওয়ার কথা
বলে থাকি কারণ অনিয়মিত মধু পানে যে উপকার আপনি পাবেন তা তেমনভাবে পরিলক্ষিত হবে
না। কোন কোন উপকরণের সাথে মধু খাওয়া যায় তার নিচে উল্লেখ করা হলো-
১। কালোজিরার সাথে মিশিয়ে মধু খাওয়া যায়
২। দুধের সাথে মিশিয়ে মধু খাওয়া যায়
৩। তুলসী পাতার রসের সাথে মিশিয়ে মধু খাওয়া যায়
৪। কাঁচা পানের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়
৫। সকালের নাস্তাই ওটস বা সিরিয়ালের সঙ্গে মধু খাওয়া যায়
৬। কাঁচা ছোলার সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়
৭। ব্রেড বা রুটির সাথে জেলের বদলে মধু খেতে পারেন
৮। হালকা কুসুম গরম পানির সাথে মধু মিশে খেতে পারেন
৯। লেবুর রস কিংবা কমলার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন
১০। চায়ের সাথে চিনির বদলে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন
মধু প্রাকৃতিক পর্যায়ে প্রকৃতির অসাধারণ উপহার, যা স্বাস্থ্য সৌন্দর্য এবং রোগ
প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি প্রাকৃতিক নিরাপদ এবং কার্যকর। তবে
খাঁটি মধু ব্যবহার এবং সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দৈনন্দিন জীবনে মধু অন্তর্ভুক্ত করে সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করা সম্ভব। মধু
একপ্রকার প্রাকৃতিক উপাদান, উপকারিতা জন্য বহু প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে
আসছে। এটি প্রাকৃতিক শক্তি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল
গুনসম্পন্ন।
বিভিন্ন উপকরণের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়া যায় মধুতে বিদ্যামান রয়েছে বিভিন্ন
প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর ফলে নিয়মিত খাঁটি মধু পানে আমাদের শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। মধু আমাদের শরীরের তৎক্ষণাৎ শক্তি যোগায় এবং
শারীরিক দুর্বলতা দূর করে শরীরে তাপ উৎপন্ন করে। মধু আমাদের শরীরে খাবারের
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন মধু তাদের
জন্য অত্যন্ত উপকারী। রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তার
মাধ্যমে মধু শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করে।
ওপরে উল্লেখিত যেসব উপকরণের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়া যায় প্রত্যেকটির এক একটি
গুন রয়েছে। সর্দি ও কাশি হলে তুলসী পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুত
সর্দি ও কাশি নিরাময় হয়। প্রতিদিন সকালে নাস্তায় ব্রেড বা রুটির সঙ্গে জেলের
বদলে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এটি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি খাবার। হালকা কুসুম
গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন শক্তি বাড়ায় খাবারের রুচি সম্পন্ন করে।
লেবু ও কমলার রসের সাথে মধু মেশে খেতে পারেন এতে মুখের রুচি বাড়বে।
মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
কোটেশন কোটেশন সর্দি কাশিতে আরাম পেতে, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ ও রক্ত সঞ্চালন
ধ্বনিত সমস্যা থাকলে সকালে খালি পেটে মধু এক সাথে কালো জিরা সেবন করলে অল্প দিনের
মাঝেই আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন। খাবারের প্রতি অনীহা যাদের তারা এটি খেতে পারেন।
মধু ও কালোজিরা শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেই করে না বরং আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজ
চিকিৎসাতে ভূমিকা রাখে। ইসলামের আলোকেও কালোজিরা ও মধু খাওয়ার বিশেষ কিছু
তথ্য আছে যা থেকে আমরা ইসলামিক ভাবে অনেক কিছু জানতে পারি।
ইসলামের দৃষ্টিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে থেকেই মুসলমানগণ
কালোজিরার ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান করে এসেছেন। এ ব্যাপারে একটি হাদিস তাদেরকে
উৎসাহিত করেছে। হাদিসে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, তোমরা কালোজিরার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ প্রদান কর। কেননা তাতে মৃত্যু
ব্যতীত সব রোগের নিরাময় রয়েছে। সহীহ বুখারী। কালোজিরার ভেষজ
ব্যবহার-নিদ্রাহীনতায়ঃ মধু মেশানো এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক চামচ
কালোজিরা মিশিয়ে ঘুমের পর বেশি এবং করতে হবে। এতে করে অনিদ্রা দূর হয়ে প্রচুর
ঘুম হবে।
মাথা ব্যথায়ঃ পরিমাণ মতো কালোজিরার জন্য এবং তার অর্ধেক পরিমাণ গরম লবঙ্গ
এবং অর্ধেক পরিমাণ মৌরি ফল একসাথে মিশিয়ে মাথাব্যথার সময় ননী যুক্ত দুধের সাথে
সেবন করতে হবে। আর কালোজিরা তৈরি তেল দ্বারা যন্ত্রনার স্থানে ডোলে মালিশ করলে
উপকার পাওয়া যায়। যৌবন ধরে রাখতে ও লাবণ্যের জন্য কোমল কালোজিরা পাতলা শিরকা
এবং এক চামচ পরিমাণ গমের গুঁড়ো মেশাতে হবে। এই মিশ্রণ সন্ধ্যা বেলায় মুখোম লে
মালিশ করবে এবং সকালে গরম পানি বা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলবে। এক সপ্তাহ প্রতিদিন
একাধিকবার তা করবে।
মধুঃ কুরআনের আলোকে আর মৌমাছির পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানি নির্গত হয় যা
মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার। সূরা নাহল-৬৯। হাদিসের আলোকে হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, কুরআন হলো যে
কোনো আত্মিক রোগের জন্য আর মধু হলো দৈহিক রোগের জন্য। ইবনে মাজাহ। মিষ্টি স্বাদের
জন্য বিভিন্ন খাবারের সাথে মধুর ব্যবহার রয়েছে। মধুর গুরুত্ব ও উপকারিতা
সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত। সকালের নাস্তা ও হালকা খাবারের মধু নেওয়া যায়।
মধুতে ক্যালরি থাকায় মধু খাওয়ার পর শরীরে তাপমাত্রার বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরের
গরম অনুভব হয়।
মধু তে থাকা প্রোটিন দেহের গঠন বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয় পূরণের যথেষ্ট কার্যকর, মধুর
ম্যাগনেসিয়া ও ফসফরাস শরীরের হার গঠনে সহায়ক। মধুর ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম
হৃৎপিণ্ডকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং বিভিন্ন এসিড পাকস্থলী
বিভিন্ন জৈবিক্রিয়ায় ফলে রোগ প্রতিরোধ করে। মধুতে শক্তিশালী জীবাণুন আসুক
ক্ষমতা রয়েছে, যার নাম ইনহিবিন। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রেও মধুর বহুল
ব্যবহার হয়। যে কোন ওষুধকে বেশি প্রভাবশালী ও কার্যকরী করার জন্য মধুর ব্যবহার
করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রূপে মধু ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন-যৌবন শক্তি
বৃদ্ধিতে মধু দৈহিক ও যৌবন শক্তি বৃদ্ধির জন্য মধুকরণকারী দুধের সাথে পান করলে
খুবই ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন কালোজিরা ও মধু দিয়ে খেলে বা দৈনিক দুই
চামচ আদার রস মধু দিয়ে খেলে প্রচুর পরিমাণে যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।
আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয়?
পানের উপকারিতা কি?
পান হলো এটি এমন একটি খাদ্য এর অসাধারণ স্বাদের জন্য জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি
এদের পুষ্টি কোন যথেষ্ট। এটি আয়োডিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন
বি মত পুষ্টি গুনে ভরপুর। হজমে সাহায্য করে পান পাতায় এমন ও যৌগ থাকে যা হজমকারি
এনজাইমের উৎপাদন বাড়ায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো হজম সংক্রান্ত সমস্যা গুলি উপশম
করতে পারে। পান পাতা যেমন উপকারী তেমন অপকারিতা আছে।
পান আমাদের দেশের একটি অতি পরিচিত খাবার। নানী-দাদীদের অনেকেরই অভ্যাস থাকে এ পান
পাতা খাওয়ার। তাই বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ করা হয়। তবে
মসলা, সুপারি, জর্দা ব্যবহারের খাওয়ার মধ্যে পান পাতার উপকারিতা শেষ নেই
নয়। আসল জেনে নেই স্বাস্থ্য সমস্যাই পান পাতার কিছু গুরুতবপূর্ণ ব্যাবহার
সম্পর্কে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে পান খেলে ক্যান্সারের মত ভয়াবহ রোগকেও প্রতিহত করে। সেক্স লাইফের জন্য পানের মহিমা অপরিসীম। পান খেলে যৌন আকাংখা বাড়ে। শুনতে অবাক লাগছে? গবেষণা সম্প্রতি এটাই দাবি করে।
জানা যাই, পানের রসে মধ্যে থাকা সুপারি, চুন, লবঙ্গ, গুল্কন্দ, হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু মাত্র হজম শক্তি যে পান বাড়াই তা না, সাথে সুগন্ধি হিসেবে ও কাজ করে পান। পাশাপাশি, পানের মধ্যে থাকা গুল্কন্দ কর্ম ক্ষমতা বাড়িয়ে সচল রাখে শরিরকে। যৌন জীবন সতেজ রাখতে পানের গুনাগুন অপরিসীম। পান বাড়াই কামশক্তি। অর্থাৎ, তবে যদি পান খাওয়া অভ্যাস করেন, তাহলে নিশ্চিন্তে থাকুন, আপনার সঙ্গি বা সঙ্গিনির কাছে হয়ে উঠবেন আরও প্রানচ্ছুল।
পানের ঔষধী গুনাগুন ব্যাখ্যা
১। মাউথ ফ্রেশনারঃ পান পাতা খাওয়ার ফলে যে রস তৈরি হয় তা আমাদের দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখে। এছাড়াও পান পাতার রস আমাদের মুখের ভেতরটা পরিস্কার রাখে। এমনকি মুখের মদ্ধে রক্তপাত ও বন্ধ করে। পান বেটে তার রস এক কাপ হাল্কা গরম পানিতে মিশিয়ে রোজ সকালে তা দিয়ে গড়গড়া করুন। কয়েকদিনের মদ্ধেই তফাৎ দেখতে পাবেন।
২।নাক থেকে রক্ত পড়া থামাইঃ অনেক সময় সান স্ট্রোক হওয়ার ফলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। এটা বন্ধ করতে আক্তা পান পাতা পাকিয়ে তা নাকের মদ্ধে গুজে দিন। মাথা পিচনের দিক হেলিয়ে রাখতে হবে। কিছুক্ষনের মধ্যেই রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। আসলে পান পাতা খুব তারাতারি রক্ত জমাট বাঁধিয়ে দিতে পারে।
৩। কানের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করেঃ পান পাতার আরো আক্তা বেনিফিট হলো এটা কানের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। কয়েক ফোটা পান পাতার রস আর কয়েক ফোটা নারিকেল তেল একসাথে মিশিয়ে কানের মধ্যে দিলে ব্যাথা কমে যাবে। তবে এই ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
৪।ডিওডোরেন্টের কাজ করেঃ বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তাহলে নিজেই পরিক্ষা করে দেখুন।গোসোল করার পানিতে কিছুটা পান পাতার রস মিশিয়ে নিন। এই পানি দিয়ে গোসল করলে সারাদিন ফ্রেশ লাগবে। এছাড়াও শরীর কম ঘামবে। পান পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে সেই পানি পান করলে ঘামের গন্ধ কমবে।
৫।প্রস্রাব করতে সাহায্য করবেঃ বিশেষত কিডনি রোগ আছে যাদের তাদের প্রস্রাব করতে কষ্ট হয়। এই কষ্ট কমাতে সাহায্য করে পান পাতা। শরীর থেকে দ্রুত পানি বের করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে পান পাতার। দুধের সাথে পান পাতা বেটে খেলে এই বেপারে সাহায্য পাবেন।
৬।ভ্যাজাইনাল হাইজিন ঠিক রাখেঃ ভ্যাজাইনাল বাথের পর তাজা পান পাতা ভ্যাজাইনাকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ভ্যাজাইনাল ডিসচাজ বা ভ্যাজাইনাল ইচিং ও সরিয়ে দেই।
৭। ত্বকের জন্য ভালঃ খুব কম লকেই জানে পানে যে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল প্রপাটি আছে তা সিম্পল, এছাড়াও বিভিন্ন স্কিন এলাজি, ফুসকুড়ি, কালো ছোপ, সান বার্ন সরিয়ে দেই। এর জন্য কয়েকটা পান পাতা আর কাঁচা হলুদ একসাথে বেটে লাগাতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url